সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

প্রবল বৃষ্টি, ভারতের ১০ রাজ্যে বন্যা, ধস, মৃত বহু

প্রবল বৃষ্টি, ভারতের ১০ রাজ্যে বন্যা, ধস, মৃত বহু

স্বদেশ ডেস্ক:

বর্ষা আসতেই ভারতের অন্তত ১০টি রাজ্যে বন্যার তাণ্ডব শুরু হয়েছে। পাহাড়ে শুরু ক্লাউড বার্স্ট, ধস। গুজরাটেই মারা গেছেন ৬৯ জন, কাশ্মিরে ১৬ জন, মহারাষ্ট্রে ৮৫ ও ঝাড়খণ্ডে চারজন।

বর্যার সবে শুরু। এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর বৃষ্টি হচ্ছে ভারতের অন্তত ১০টি রাজ্যে। শুরু হয়েছে বন্যার তাণ্ডব। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গুজরাটে। সোমবার আমেদাবাদে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পুরো শহর পানির তলায়। স্কুল, কলেজ, অফিস বন্ধ। শুধু আমেদাবাদ নয়, ডাঙ, নবসারি, তাপি, ভালসাদ, পাঁচমহল, ছোট উদয়পুর, খেড়ায় বন্যা হয়েছে।

বহু নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৩টি বড় দল বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধারকাজে ব্যস্ত। ভালসাদে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ১৬জনকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়েছে। রেললাইন পানির তলায় চলে যাওয়ায় অনেক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। রাজকোটে নেয়ারি বাঁধের উপর দিয়ে পানি বইতে শুরু করেছে।

গত ১ জুন থেকে গুজরাটে বন্যায় ৬৯ জন মারা গেছেন।

মহারাষ্ট্রের অবস্থা

মহারাষ্ট্রের সর্বত্র প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। মুম্বই আবার ভেসেছে। পুনাতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পালঘরে ধস নেমেছে। তাতে একজন মারা গেছেন। থানেতেও ধস নেমেছে। একটি ছোট পাহাড়ে ফাটলও দেখা দিয়েছে।

নাগপুরে তিনজনকে নিয়ে একটি গাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে যায়। তিনজনই মারা গেছেন। তারা মধ্যপ্রদেশ থেকে নাগপুর এসেছিলেন। গাড়িটি একটি ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় পানিরর তোড়ে ভেসে যায়।

গত কয়েক দিন ধরে বন্যা ও ধসের ফলে মহারাষ্ট্রে ৮৯ জন মারা গেছেন।

পাহাড়ে ক্লাউড বার্স্ট ও চকিত বন্যা

দিন কয়েক আগে কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রার সময় ক্লাউড বার্স্ট হয় এবং ১৬ জন তীর্থযাত্রী মারা যান। এরপর সেনাবাহিনীর তরফ থেকে রাস্তা ঠিক করে দেয়ার পর যাত্রা আবার শুরু হয়। কিন্তু আবার বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তা এখন স্থগিত আছে।

হিমাচল প্রদেশের মানালিতে প্রবল বৃষ্টির ফলে ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা চকিত বন্যা হয়েছে। মানালির বাসস্ট্যান্ড ভেসে গেছে। বেশ কয়েকটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের রাস্তা বৃষ্টির জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ, চামোলি্তে বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। কেদারনাথের আবহাওয়ার দিকে সারাদিনরাত নজর রাখা হচ্ছে।

অন্য রাজ্যগুলোতে

মধ্যপ্রদেশে বন্যার অবস্থা বেশ খারাপ। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। হারদা, বেতুল সহ বেশ কয়েকটি জেলার বড় অংশ জলের তলায় চলে গেছে। ভোপাল-বেতুল সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় জানিয়েছে, প্রচুর মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ওড়িশায় মঙ্গলবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে বহু জায়গায় ধস নেছে। অনেক গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে।

ঝাড়খণ্ডে ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ধানবাদ রেল স্টেশনের কাছে একটি নির্মাণকাজ চলার সময় ধস নামে। বেশ কিছু ট্রেন হয় ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে বা বাতিল হয়েছে।

তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে এবং নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। আসামের শিলচর ও তার আশপাশের এলাকা এখনো পানিমগ্ন।

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। এখনো সেখানে বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হয়নি।
সূত্র : ডয়চে ভেলৈ

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877